মারিয়ানেলা (পর্ব ১০)


স্পেনের সর্বশ্রেষ্ঠ কথাশিল্পীদের পাশে একইসঙ্গে উচ্চারিত হয় বেনিতো পেরেস গালদোসের নাম। ঊনবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক তিনি। তাঁর অন্যতম উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘ফোরতুনাতা এবং হাসিন্তা’,’জাতীয় ঘটনাক্রম’, ‘মারিয়ানেলা’, ‘দন্যা পেরফেক্তা’’ ইত্যাদি। বেনিতো পেরেস গালদোস জন্মগ্রহণ করেন ১৮৪৩ সালে গ্রেট কানারিয়া দ্বীপপুঞ্জের ‘লাস পালমাস’ নামক সুন্দর এক দ্বীপে। কর্নেল পিতার মুখে স্পেনের স্বাধীনতা যুদ্ধের গল্প শু্নে বড়ো হয়েছেন গালদোস। স্বাভাবিকভাবেই ঐতিহাসিক কাহিনির প্রতি তাঁর আগ্রহের সৃষ্টি হয় অতি অল্প বয়সে। ১৮৬২ সালে সাহিত্য এবং কলায় স্নাতক হওয়ার পর তিনি সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রহসন-কবিতা, প্রবন্ধ এবং গল্প লিখতে থাকেন। সেই সময় থেকেই চিত্রকলায় আগ্রহী হতে থাকেন। নাটকে বিশেষ আগ্রহ থাকায় তিনি মাদ্রিদে থাকাকালীন প্রায়শই নাটক দেখতে যেতেন। এই শহরেই স্পেনীয় লেখক লেওপোলদো আলাস ক্লারিন-এর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। গালদোস ছিলেন লাজুক স্বভাবের, সহজ জীবন তাঁর ভালো লাগত,জনসভায় বক্তৃতা দেওয়া পছন্দ ছিল না তাঁর, অসাধারণ স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন লেখক, ‘দন কিহোতে’ উপন্যাসটির পাতার পর পাতা তিনি মুখস্থ বলে দিতে পারতেন। বালজাক এবং ডিকেন্স তাঁর প্রিয় লেখক। ১৮৭৩ সালে শুরু করে চল্লিশ বছর ধরে চার খন্ডে ‘জাতীয় ঘটনাবলি’ রচনা করেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর স্পেনীয় জীবনের এই আলেখ্যটি মহান সাহিত্যকীর্তি হিসেবে গণ্য হয় এবং ইতিহাস-ভিত্তিক উপন্যাস রচনার ধারাটিকে পুষ্ট করে।বাস্তববাদী লেখক গালদোসের অন্যান্য রচনার মধ্যে আছে ৫১টি উপন্যাস,২৩টি নাটক এবং ২০টি খণ্ডের অন্যবিধ রচনা। তিনি ছিলেন বহুপ্রজ লেখক। ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত হয় ‘দন্যা পেরফেক্তা’(Dona Perfecta) অর্থাৎ ‘শ্রীমতী পারফেক্ট’। এই উপন্যাসের মূল বিষয় মতাদর্শগত সংঘাত। ১৮৮৯ সালে স্প্যানিশ রয়্যাল একাডেমির সদস্যপদ লাভ করেন গালদোস। জীবনের শেষ দিকে তিনি নাটক রচনায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। স্পেনের অন্যতম সমকালীন লেখক পিও বারোহার(উচ্চারণভেদে বারোখার )মতে ‘তিনি জানতেন মানুষকে কীভাবে কথা বলাতে হয়।‘ লোকজীবনের সাদামাঠা ভাষাই ছিল তাঁর পছন্দ, অলঙ্কারসমৃদ্ধ জমকালো বাক্য তিনি লিখতেন না। ১৯১২ সালে নোবেল পুরস্কারের জন্যে তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয় এবং স্পেনের সাহিত্যজগতে তুমুল আলোড়ন ওঠে কিন্তু শেষপর্যন্ত তা বাতিল হয়ে যায়। অসম্ভব জনপ্রিয় গদ্যকার বেনিতো পেরেস গালদোস ১৯২০ সালে মাদ্রিদে প্রয়াত হন। কুড়ি হাজারের বেশি মানুষ তাঁর অন্ত্যেষ্টিতে অংশগ্রহণ করেন।

মারিয়ানেলা
পর্ব -১০
গ্রামের দুটো ছেলের গল্প
-আদরের বোন সোফিয়া-তেওদোরো বলেন, -এখানে তোমার সামনে উপস্থিত হয়েছে এমন এক মানুষ যে সবরকমের কাজ করতে পারে। আমাদের শিক্ষার ফসল এই মানুষ, কী? তাই না কার্লোস? তুমিতো ভালোই জানো যে, আমরা আদরযত্নে মানুষ হইনি, খুব ছোটোবেলা থেকেই আমাদের বদ্ধমূল ধারণা হয়েছিল যে, আমাদের চেয়ে নীচু অবস্থায় কেউ নেই…। কারও সাহায্য কিংবা সহানুভূতি ছাড়া আমাদের মতো একা একা যারা বড়ো হয় তাদের একমাত্র সান্ত্বনা যে, টিকে থাকার লড়াইতে সফল হওয়ার ইচ্ছেশক্তি এবং মহান উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাদের প্রাণিত করে…হ্যাঁ, একমাত্র এরাই জানে অসহায় অভাবী মানুষকে কীভাবে দেখতে হয়। আমার জীবনের নানা ঘটনা তোমাকে বলব না, তোমার পরোপকারের মন আছে বলে বলছি যে, নিজের প্রশংসা করার মতো পাপের পথে পা দিতে আমি চাইছি না কিংবা তোমার লটারি এবং পরের সেবার জন্যে নাচের অনুষ্ঠান দেখে আমার কোনো ঈর্ষা নেই।
-বলুন, আবার বলুন তেওদোরো।
-না, না, …এসব না বলাই ভালো, সৌজন্য তাই বলে। আমি স্বীকার করছি যে, তেমন উচ্চমার্গীয় গুণ আমার নেই; অহংকার আমার আছে, ভিখারী হওয়ার গর্ব, বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভিক্ষে সংগ্রহ করা, ছোটো ভাই কার্লোস-এর হাত ধরে খালি পায়ে হাঁটা, দরজার বাইরে একসঙ্গে ঘুমনো, না আছে কোনো আশ্রয়, না গা ঢাকা দেবার কোনো বস্ত্র, না পরিবার। জানি না কোথা থেকে ইচ্ছেশক্তি আর উদ্যমের অসামান্য এক আলো আমার অন্তর আলোকিত করে দেয়। আমার মন নেচে ওঠে। এক অনুপ্রেরণা পেয়ে যাই আমি। তখন বুঝতে পারলাম যে, আমাদের সামনে দুটো পথ খুলে যাচ্ছে। কারাগার অথবা গৌরব। কাঁধে তুলে নিলাম ছোটো ভাইকে, যেমন আজ নিয়েছি নেলাকে, আর বললাম : “হে বিধাতা, আমাদের রক্ষা করো।” আমরা রক্ষা পেলাম। আমি লেখাপড়া শিখতে লাগলাম, ভাইকেও পড়তে শেখালাম। তারপর অনেক মালিকের কাছে কাজ করলাম, ওদের দয়ায় খাওয়াপরা আর স্কুলে পড়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। যা বকশিশ পেতাম জমিয়ে রাখতাম; পয়সা জমানোর একটা বাক্স কিনলাম…ওই থেকে বই কিনলাম…’এস্কোলোপিওস’-এ কীভাবে প্রবেশ করলাম জানি না, আমার ভাইটা মুদিখানার দোকানে খাতা লিখে খেতে পেত…
-কি সব গল্প আপনার! —অস্থির হয়ে বলে ওঠেন সোফিয়া, এসব কথা শুনতে ভালো লাগে তাঁর। ওইসব বাসি কথা মনে করার কী দরকার? তাছাড়া, আপনি খুব বাড়িয়ে বলছেন।
-একটুও বাড়াবাড়ি নেই— তেওদোরো জোর দিয়ে বলেন- চুপ করে শোনো…বলতে দাও আমাকে…সব দরিদ্র মানুষ শুনুক…ঈশ্বরের ইচ্ছেয় ‘এস্কোলোপিওস’-এ প্রবেশ করে তাঁর ইচ্ছেয় কিছু লেখাপড়া শিখলাম…এক দয়ালু পাদ্রিবাবা সদুপদেশ দিয়ে ভিক্ষে দিয়ে সাহায্য করলেন…চিকিৎসাশাস্ত্রে আগ্রহী হয়ে উঠলাম…খাওয়াপরার জন্যে যে কাজ করি তা না ছেড়ে লেখাপড়া করব কীভাবে? ভয়ঙ্কর সমস্যা! …কার্লোস, তোর মনে আছে আমরা পুরনো ‘কোফ্রেরোস’ স্ট্রিটে একটা সেলুনে কাজ খুঁজতে গিয়েছিলাম? …এর আগে কখনও ছুরি নিইনি হাতে, কিন্তু লোকের দাড়ি কামিয়ে নিজেদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে…প্রথমে আমরা শুধু সাহায্য করতাম…মনে আছে কার্লোস? …তারপর হাতে নিতে শিখলাম ওইসব দামি যন্ত্রপাতি…শিরা কেটে রক্তমোক্ষণ করার কাজ আমাদের বাঁচবার পথ করে দিল। আমি মানুষের দেহের ‘অঙ্গব্যবচ্ছেদবিদ্যা’ নিয়ে লেখাপড়া শুরু করলাম। এ অদ্ভুত এক বিজ্ঞান, স্বর্গীয় বলা যায়। পড়াশুনোর কাজ এত বেশি যে, বিখ্যাত মাস্টার কায়েতানোর সেলুন ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। যেদিন বিদায় জানালাম তিনি কাঁদতে লাগলেন, …দুটো দুরো দিলেন আমার হাতে আর তাঁর স্ত্রী স্বামীর কয়েকটা পুরনো ট্রাউজার উপহার দিলেন…এক বাড়িতে চাকরের কাজ নিলাম। ঈশ্বরের কৃপায় সবসময় আমার কপালে ভালো মালিক পেয়েছি। লেখাপড়ায় আমার আগ্রহ দেখে সদাশয় ব্যক্তিরা খুব খুশি, যতটা সম্ভব আমাকে সময় দিতেন, পড়ার সময়। আমি শুধুই পড়তাম। ঘুমের মধ্যেও পড়তাম। বিকারগ্রস্ত মানুষের মতো হয়ে গিয়েছিলাম, পোশাক কাচতে কাচতে মানুষের কঙ্কালের বিভিন্ন অংশ মনে করার চেষ্টা করতাম…মালিকের পোশাক ভাঁজ করতে করতে মানুষের শরীরের হাড় নিয়ে ভাবতাম…শার্টের হাতা পরিষ্কার করার সময় মনে মনে বলতাম…“পেশিগুলোর নানা রূপ, হাতের, পায়ের, পেটের পেশি” এবং ট্রাউসারের মধ্যে দেখতে পেতাম শরীরের নানা অংশ। ওই বাড়িতে অনেকটা খাবার পেতাম, বাড়তি খাবার ভাইয়ের জন্যে নিয়ে যেতাম, সে থাকত পুরনো বস্ত্রব্যবসায়ীর বাড়িতে, মনে আছে কার্লোস?
-সব মনে আছে— আবেগমথিত কার্লোস বললেন। একজনের সৌজন্যবশত একটা ছোটো ঘর পেয়েছিলাম, সেখানে আমি লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছিলাম।তারপর সেই অবসরপ্রাপ্ত কর্নেলের সঙ্গে আলাপ, তিনি প্রাথমিক স্তরের অঙ্ক শিখিয়েছিলেন।
-বাঃ, ঘরের সব ময়লা কাপড়ই রাস্তায় মেলে দিলেন!—সোফিয়া বললেন।
-ভাই আমার কাছে খাবার চাইত— তেওদোরো বলেন— তখন আমি ওকে বলতাম : ‘রুটি চাস? অঙ্ক শেখ…’ একদিন মালিক আমাকে থিয়েটারের টিকিট দিলেন;ভাইকে নিয়ে গেলাম,খুব ভালো লেগেছিল আমাদের, কিন্তু সেইসময় কার্লোস-এর ফুসফুসের অসুখ হল…বিরাট বিপদ, কঠিন সমস্যা! যুদ্ধে নেমে প্রথমেই গুলির আঘাত…কিন্তু না, ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। এগিয়ে চলো…সমস্যার সমাধান করতে হবে।এক অধ্যাপক আমাকে খুব ভালোবাসতেন, তিনি ভাইয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন।
-বিধাতার অলৌকিক কাণ্ড ঘটল সেই অন্ধকার ছোট্ট ঘরে, সেখানে জমা আছে পুরনো পোশাক, পুরনো লোহালক্কড় আর পুরনো চামড়া।
-আমাদের সঙ্গে ছিলেন ঈশ্বর…খুব স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে তাঁকে…আমাদের রক্ষা করতে এসেছিলেন তিনি…ওঃ, আমি খুব ভালোই বুঝতে পেরেছিলাম কে আমাকে আলো দেখাচ্ছিলেন!— তেওদোরো আবেগতাড়িত হয়ে দ্রুত কথা বলে চলেন, কথা নয়, যেন আগুনের ফুলকি।সিংহের বিক্রম বেশ বোঝা যাচ্ছে।
-আমার পোশাক না থাকলেও চলবে, ভাইয়ের ওষু্ধ কিনতেই হবে। পোশাক আর চিকিৎসা একসঙ্গে চলে না। আমার সবকিছু দিয়ে ভাইয়ের চিকিৎসা চালালাম। কিন্তু আমার মালিকরা আমাকে ত্যাগ করেননি…আবার পেলাম পোশাক আর ভাই সেরে উঠল। ডাক্তারবাবু বললেন: ‘গ্রামে গিয়ে থাকলে তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে’। আমি ভাবলাম…গ্রাম? খনির স্কুলে যাক ভাই। আমার ভাই গণিতবিশারদ। ওকে আমি শেখালাম কেমিস্ট্রি; খুব তাড়াতাড়ি ভালোবেসে ফেলল পাথর, স্কুলে প্রবেশ করার আগে চলে গেল সান ইসিদ্রোতে, সেখানে গিয়ে যত রাজ্যের পাথর সংগ্রহ করতে লাগল। এদিকে আমি ঝড়ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রে পাড়ি দেবার কথা ভাবছি…দিন দিন আমি চিকিৎসাবিদ্যায় এগোচ্ছি, একজন বিখ্যাত সার্জন আমাকে সহায়ক করে নিলেন; ভৃত্যের কাজ তার আগেই ছেড়ে দিয়েছি…বিজ্ঞানের সেবায় পুরোদস্তুর মন দিলাম…; আমার মালিক অসুস্থ হয় পড়লেন; খ্রিস্টান নার্সের মতো তাঁর সেবাযত্ন করলাম…তিনি মারা গেলেন, আমাকে উত্তরাধিকারী করে সবকিছু দিয়ে গেলেন…কি অসামান্য ভাবনা! একটা লাঠি, সিগারেট তৈরির একটা যন্ত্র শিকার থেকে পাওয়া একটা শিং এবং চার হাজার রেয়াল। এত বিশাল সৌভাগ্য! …আমার ভাই পেল বই, আমি পেলাম পোশাক, ভদ্রলোকের মতো পোশাক পরা শুরু করতেই আমি রোগী পেতে শুরু করলাম।মনে হয়,আমাকে কাজ দেবার জন্যেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে…চলো এগিয়ে, অবিরাম এগিয়ে চলো!…বছরের পর বছর পার হয়ে যায়; শেষে অনেক ঝড়ঝঞ্ঝার পর দূর থেকে দেখতে পেলাম আশ্রয়ের বন্দর। আমার ভাই আর আমি নির্বিঘ্নে দাঁড় বাইতে থাকলাম…আমরা আর দুঃখ করি না…আমাদের মধ্যে বিধাতার হাসি ফুটে ওঠে। গোলফিনদের ভাগ্য ফিরছে!…ঈশ্বর ওদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি পড়তে শুরু করলাম চক্ষুচিকিৎসাবিদ্যা…অল্প সময়ের মধ্যেই ছানির চিকিৎসায় সাফল্য এল, কিন্তু আমি আরও কিছু চাইতাম…কিছু রোজগার হল, কিন্তু ভাইয়ের জন্যে অনেক টাকা খরচ হয়…শেষে কার্লোস স্কুলের পাঠ শেষ করল…সাহসী মানুষের জয় হোক!…‘রিওতিনতো’তে ভ্লো বেতনের চাকরিতে ওকে বহাল করে আমি পাড়ি দিলাম আমেরিকায়…আমি হয়ে গেলাম এক টুকরো কলম্বাস, চাকরির কলম্বাস, এক টুকরো এরনান কোর্তেস; নিজের মধ্যে আবিষ্কার করলাম এক নতুন বিশ্ব এবং পরে তাকে জয় করলাম।
-এইতো ঢাক বাজছে! —হাসতে হাসতে বললেন সোফিয়া।
-পৃথিবীতে যদি বীর বলে কেউ কেউ থাকেন তুমি তাদের একজন-কার্লোস দাদার প্রতি শ্রদ্ধাবনত হয়ে কথাটা বললেন।
-অর্ধ-ঈশ্বর, এবার তৈরি হোন- সোফিয়া বললেন, -আপনার কাজকর্ম আর সাফল্যকে অতিলৌকিকতার মুকুট পরিয়ে দিন, এক জন্মান্ধকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারলে অলৌকিক কাজই হবে…দেখুন; দন ফ্রান্সিসকো আমাদের খোঁজে বেরিয়ে এসেছেন।
পশ্চিমে খনির সীমানায় এসে পড়েছিলেন ওঁরা, সেখান থেকে এলেন ‘আলদেয়াকোর্বা’তে, সেন্যোর পেনাগিলাস-এর বাড়ি, তড়িঘড়ি জ্যাকেট খুলে ফেলে বন্ধুদের নিয়ে যেতে এসেছেন। সন্ধে নামছে।
ক্রমশ…

তরুণ কুমার ঘটক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্যানিশ ভাষায় প্রাক্তন শিক্ষক ও হিস্পানিক সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য অনুবাদক।‘দন কিহোতে’ এবং‘নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ’ সহ বিয়াল্লিশটি গ্রন্থের অনুবাদক। ‘দন কিহোতে' লীলা রায় স্মারক পুরস্কার অর্জন করে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তাঁর অনুদিত গল্প কবিতা ছাড়াও প্রকাশিত হয় স্পেন ও লাতিন আমেরিকার সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ।
© All rights reserved by Torkito Tarjoni