সৃষ্টির সারাৎসার আমি দেবী, ঈশ্বরের পায়ের তলার ঘাসপাতার চাবড়া উঠে আসে টানলে, আমি সারাদিন মাঠেঘাটে ঘুরি, কাঠকুটো জোগাড় করি, কাগজ কুড়োই, বাচ্চাদের আফিং মেশানো চা খাইয়ে যাই, ওদের খিদে পায় না, আমি খুব যত্ন নিই ওদের যাতে খিদে না পায়…
দেবীর অণিমা
এই রোদ হয়তো আর কিছুর জন্যেই আমাকে ফেলে যায় না, অনেক সফলতা জুড়ে মনখারাপ, এটাও কিছু না, আমি কেবল দেবীর অণিমাগুলো, সিদ্ধিগুলো একবার ছুঁয়ে ছেনে চলে যেতে চাই। হয়তো এর জন্যে আমার অনেক ভোর, অনেক রাত্রি, উপেক্ষায় থাকা একটি হাঁড়িচাচা। উপেক্ষায় থাকা এক নদী- এদের যদি জানতে পারতাম, মনে হয় আমার এত জন্ম হত না আমার এত মৃত্যু হত না।
তৃষ্ণা বসাক
তৃষ্ণা বসাক এই সময়ের বাংলা সাহিত্যের একজন একনিষ্ঠ কবি ও কথাকার। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, কল্পবিজ্ঞান, মৈথিলী অনুবাদকর্মে তিনি প্রতিমুহুর্তে পাঠকের সামনে খুলে দিচ্ছেন অনাস্বাদিত জগৎ। জন্ম কলকাতায়। শৈশবে নাটক দিয়ে লেখালেখির শুরু, প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘সামগন্ধ রক্তের ভিতরে’, দেশ, ১৯৯২। প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘আবার অমল’ রবিবাসরীয় আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৯৯৫।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.ই. ও এম.টেক তৃষ্ণা পূর্ণসময়ের সাহিত্যকর্মের টানে ছেড়েছেন লোভনীয় অর্থকরী বহু পেশা। সরকারি মুদ্রণ সংস্থায় প্রশাসনিক পদ, উপদেষ্টা বৃত্তি,বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শী অধ্যাপনা, সাহিত্য অকাদেমিতে আঞ্চলিক ভাষায় অভিধান প্রকল্পের দায়িত্বভার- প্রভৃতি বিচিত্র অভিজ্ঞতা তাঁর লেখনীকে এক বিশেষ স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে।
প্রাপ্ত পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- পূর্ণেন্দু ভৌমিক স্মৃতি পুরস্কার ২০১২, সম্বিত সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩, কবি অমিতেশ মাইতি স্মৃতি সাহিত্য সম্মান ২০১৩, ইলা চন্দ স্মৃতি পুরস্কার (বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ) ২০১৩, ডলি মিদ্যা স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫, সোমেন চন্দ স্মারক সম্মান (পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি) ২০১৮, সাহিত্য কৃতি সম্মান (কারিগর) ২০১৯, কবি মৃত্যুঞ্জয় সেন স্মারক সম্মান ২০২০, নমিতা চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য সম্মান, ২০২০ ও অন্যান্য আরো পুরস্কার।
বর্তমানে কলকাতা ট্রান্সলেটরস ফোরামের সচিব।
খুব ভালো লাগল।