কবিতা – বনানী চক্রবর্তী

মুগ্ধকরতল
তোমার বুকের মাঝখানে রঙিন পাথরগুলো আর কতকাল পাশাপাশি রেখে দেবে, ওরাই যে দিনরাত বেদনা শোনায়… আমার এ করতল পাতা আছে আদিম যুগের কোন গুহাহিত ছবির আদলে,দেখেও দেখলে না… এখনো কি হয়নি সময় তোমার চোখের থেকে সবটুকু জল, গোপন খাঁজের মাঝে জমানো ঘামের নদী সাঁতরানো কলা, তুলে নিতে পারি এই হাতে…
তুমি যে দু’হাতে পাথর গাছ জলাশয় আকাশ বাতাস নিয়ে পূর্ণ হয়ে আছো… আমার এ মৃত শরীরের মাঝখানে কমণ্ডুলুর জল ফকিরের ধুলো পড়া লিখবে কেমন করে বলো…বহুকাল পচন উন্মুখ নীল ঠোঁটে বিষের ছোবল শুধু, পুড়ে যাওয়া হাত দেখে চিতা বহ্নিমান স্মৃতি উচ্চগ্রামে বেজে ওঠে যদি বেদনার ঝনঝনে সুরই বাজবে আবার,পাথর খোদাই করে ভেসে যাওয়া শরীরের অবয়ব কখনো ফুটবেনা…
শুক্রজাতক
যখনই হাতের রেখা ছুঁই, মনেহয় শুক্র জাতক আমি… প্রজাপতি রিসির কাছে তুমিই তো গায়ত্রী ছন্দ শিখেছো,আমার যে শুনে শুনে শ্রুতির গল্পটুকু…কতবার বারণ শুনেছি,ওম নয়,গায়ত্রী মন্ত্র নয়, নয় নয় করে সবইতো বারণ হলো, পঞ্চগব্য দিয়ে গর্ভ শুদ্ধি…পানের পাতায় ঢাকা স্মৃতি, ধসা রোগে খসে খসে যায়,সেকথাও উচ্চারিত হবেনা কোথাও…অনেক কথাই শব্দ ব্রহ্মের মতো… বৃহস্পতির কাছে যশের আকাঙ্ক্ষা শুধু, পাতে মাছ তুলে নিলে কাঁটায় কাঁটায় খোঁচা অনুভূতি…
তোমার কাছে যে আমার পোশাক খাবার নেই,থাকবার কথাও ছিলোনা… এ দারুণ শীতে বয় শুভ্র বরফকণা…দীর্ঘ জ্বরের স্মৃতি সংশয়ে বারবার তাপ ছড়িয়ে যায়,চাপা পড়ে যায় যত মূর্ত অনুভব…আগুন জ্বালাও,তাওবা কিভাবে বলি,বরং এবার এসে আমার এ মেয়েজন্ম মুছে দাও মুছে দাও…

বনানী চক্রবর্তী জন্ম বসিরহাট, প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ছিন্ন খঞ্জনার মত, ক্রমাগত চরকার ঘ্রাণ, সংক্রমিত মেহগনিগাছ,বৃষ্টি সময় অন্তরে,অনুগত স্বর্ণরেনুকণা(যন্ত্রস্থ)
©All Rights reserved by Torkito Tarjoni
ভালো লাগলো।
বড় ভালো লিখলেন। পড়ে খুব আনন্দ পেলাম।
Российские солдаты совсем не только лишь отрекаются воевать в несправедливой войне против Украины. Именно они дополнительно и отсылают по курсу военного судна всех своих командиров, что заставляют их всех идти в бой.
খুব ভালো লাগলো আপনার কবিতা।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
(বাংলাদেশ থেকে)